চায়নিজ স্কলারশিপ সহায়ক কিছু কথা
দিন দিন চায়নার স্কলারশিপ পাওয়া কঠিন থেকে কঠিন হচ্ছে। এমতাবস্থায় চায়নিজ স্কলারশিপ ও ভিসা পাওয়ার জন্য নিচের বিষয় গুলো অনেকের জন্য সহায়ক হতে পারে। একই সাথে কিছু প্রয়োজনীয় স্কীল শেখা শুরু যা আপনার চায়নার জীবনকে সহজ করবে।
১, নিজের নাম এবং পিতামাতার নাম সার্টিফিকেটে কোন ভুল থাকলে তা সংশোধন করবেন এবং একইসাথে সার্টিফিকেটের সাথে পাসপোর্টের নাম মিল থাকতে হবে।
২, পাসপোর্ট তৈরির সময় পূর্বের সার্টিফিকেট অনুযায়ী নাম এবং স্থায়ী ও বর্তমান ঠিকানার দিকে খেয়াল রাখবেন ।
৩.ব্যাংক স্টেটমেন্ট এ বাবা,মায়ের নাম আপনার পাসপোর্ট ও সার্টিফিকেটের অনুযায়ী হয়। সেদিকে আগে থেকেই খেয়াল রাখতে হবে।এক বছর আগে থেকেই একাউন্ট খুলে লেনদেন শুরু করা উচিত। যাতে ভিসার সময় যেন কোনো ধরনের সমস্যায় পরতে না হয়।
( ১,২ এবং ৩ নং পয়েন্টে কোনোভাবে ভুল হলে এগুলো সংসোধন করবেন। বিদেশে পড়তে যান বা না যান এমনিতেই জরুরি এবং সংশোধন একটু সময় সাপেক্ষ বিষয়)
৩, SSC, HSC এর মার্কশিট এবং সার্টিফিকেট সংগ্রহ করা। যদি মাস্টার্সে যেতে চানা তাহলে অনার্সের সার্টিফিকেট বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগ্রহ করে রাখা ।
৪, সার্টিফিকেট সংগ্রহের পর এগুলো নোটারী করে ফেলুন।
৫, IELTS preparation : এখন চায়নার অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে IELTS স্কোর প্রয়োজন। এই জন্য আইইএলটিএস পরীক্ষার প্রিপারেশন টা একটু আগে থেকেই নেওয়া ভালো। কারন অনেকের কাঙ্খিত স্কোর তুলতে অনেক বেশি সময় লেগে যায় এবং এই সময়ের কারণে অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেডলাইন মিস হয়ে যেতে পারে। যার জন্য কাংখিত বিশ্ববিদ্যালয়ে এডমিশন পাওয়া কঠিন হয়ে যায় ।
৬,HSK Preparation এখন থেকেই নিতে পারেন। আন্ডারগ্রাজুয়েট এ CSC স্কলারশিপ পেতে হলে HSK 5 থাকা বাধ্যতামূলক।
৭,আপনার বাজেট, আপনার পছন্দের শহর সহ সব কিছু বিষয় মাথায় রেখে মিনিমাম পাঁচটা বিশ্ববিদ্যালয় আগে থেকে পছন্দ করে রাখা ।
৮,আন্ডার গ্রাজুয়েট স্টুডেন্ট এডমিশন এক্সামের প্রিপারেশন নেওয়া। কারন এখন থেকে অনেক ইউনিভার্সিটি এক্সাম নিয়ে স্টুডেন্ট নিবে।
৯,বাবা -মা এর অর্থনৈতিক অবস্থা ভালো না হলে চায়না আসার আগে ৭ বার ভাবতে হবে। এখানে আন্ডারগ্রাজুয়েট এ বেশিরভাগই পার্সিয়াল স্কলারশিপ দিয়ে থাকে। স্টুডেন্ট অবস্থায় চাকুরির কোনো সুযোগ নাই বললেই চলে।
১০, আপনি যে সকল বিশ্ববিদ্যালয় পছন্দ করবেন সে সকল বিশ্ববিদ্যালয়ের আবেদনের ডেডলাইনের দিকে খেয়াল রাখা এবং সে অনুযায়ী আগে থেকেই আবেদন করা ।
১১,এক্সট্রা কারিকুলামে যুক্ত - আপনি যদি খুব সহজেই বিশ্ববিদ্যালয়ের আবেদন করে সিলেক্ট হতে চান বা স্কলারশীপ পেতে চান এবং সহজেই ভিসা পেতে চান তাহলে কিছু ভলেন্টিয়ার সংগঠনের সাথে যুক্ত থাকা এবং তার যথেষ্ট প্রমাণ সংগ্রহ করে রাখা ।
১২,বিদেশে গেলে বেশিরভাগ সময় আপনাকে নিজেকে নিজের রান্না করে খেতে হবে। সুতরাং আগে থেকেই দেশ থেকে রান্না শিখে যাওয়া।
১৩,যদি সম্ভব হয় তাহলে কম্পিউটারে নিজের স্কিল দেশ থেকে আপগ্রেড করে যান যেমন- মাইক্রোসফট ওয়ার্ড,কোডিং, মাইক্রোসফট পাওয়ারপয়েন্টে,অটোক্যাড,সলিড ওয়ার্কে কাজ শেখা এবং সার্টিফিকেট সংগ্রহ করে রাখতে পারেন। এটা বিদেশে আপনাকে সাপোর্ট দিবে ।
সবার জন্য শুভকামনা ️️🩹
লেখক
শুভ্র
স্নাতকোত্তর অধ্যয়নরত,
নর্থ চীনা ইলেট্রিক পাওয়ার ইউনিভার্সিটি, বেইজিং।
Arif
পাব্লিকেশন সেক্রেটারি, বাংলাদেশ -চায়না ইয়ুথ স্টুডেন্ট এসোসিয়েশন।
BCYSA.ORG এর নিউজ-এ আপনিও লিখতে পারেন। গণচীনে প্রবাস জীবনে আপনার অভিজ্ঞতা, বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের খবরাখবর, আনন্দ-বেদনার গল্প, স্মৃতিচারণ, ভ্রমণ, অনুভূতি, বিশেষ অনুষ্ঠানের প্রতিবেদন, চীন-বাংলাদেশ সম্পর্কে অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক খবর ছবিসহ আমাদের (বাংলা অথবা ইংরেজিতে) পাঠাতে পারেন। লেখা পাঠানোর ইমেইল : [email protected]।