চীনের কমিউনিস্ট পার্টির শতবর্ষ উপলক্ষে অ্যাবকার সেমিনার অনুষ্ঠিত
BCYSA NEWS: গত ১২ জুলাই ২০২১ সোমবার সকাল ১১:০০ ঘটিকায় চীনের কমিউনিস্ট পার্টির শতবর্ষ উপলক্ষে অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ-চায়না অ্যালামনাই (অ্যাবকা) কর্তৃক অনলাইন সেমিনার আয়োজিত হয়েছে।
অ্যাবকার প্রেসিডেন্ট ও চীনে নিযুক্ত সাবেক
বাংলাদেশি রাষ্ট্রদূত মান্যবর মুন্সি ফয়েজ আহমেদের সভাপতিত্বে আয়োজিত অনুষ্ঠানে মূল বক্তা হিসেবে ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সুপারনিউমারারি অধ্যাপক ড. সৈয়দ
আনোয়ার হোসেন। আলোচক হিসেবে অংশগ্রহণ করেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) এম সাখাওয়াত
হোসেন, পিএইচডি, বাংলাদেশের সাবেক নির্বাচন কমিশনার এবং চীনা দূতাবাসের মিনিস্টার কাউন্সিলর
ও ডেপুটি চিফ অব মিশন ইয়ান হুয়ালং। 
অ্যাবকার সাধারণ সম্পাদক ও সিলেট শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক ড. মোঃ শাহাব উল হকের সঞ্চালনায় অ্যাবকার প্রেসিডেন্ট মুন্সি ফয়েজ আহমেদ তার বক্তব্যে বলেন, “পুরো বিশ্ব দরবারেই পদ্ধতিগত নানা অগ্রগতি অর্জন করেছে চীন। কোভিড পরিস্থিতির মধ্যেও চীন দ্রুত গতিতে সামনে এগিয়ে যাচ্ছে। লক্ষ্য করলে দেখা যাবে, চীন এখন ২০৪৯ সালের মধ্যে বিশ্বে একটি ‘মডারেটলি ডেভেলপড’ দেশের মর্যাদা অর্জন করতে চায়।” চীন সামগ্রিকভাবে দারিদ্র্য বিমোচন করে বিশ্বে নজির স্থাপন করেছে জানিয়ে তিনি বলেন, চীনের কমিউনিস্ট পার্টির এই সফলতার পেছনের গোপন শক্তি হলো পরিস্থিতির সঙ্গে সমন্বয় করে তারা বারবার নানা সংস্কার করেছে। তারা সব সময় সাধারণ মানুষের স্বার্থ সবার আগে বিবেচনা করে বলেই এতো দ্রুত উন্নয়ন সম্ভব হয়েছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সুপারনিউমেরারি অধ্যাপক ড. সৈয়দ আনোয়ার হোসেন বলেন, “চীন ১৯৪৯ সাল থেকে অন্তত ১৯৫২ সাল পর্যন্ত কীভাবে ভেতর থেকে বদলে গেছে তা নিয়ে ব্যাপক আলোচনার সুযোগ আছে।” বাংলাদেশের সঙ্গে চীনের সব যুগেই সম্পর্ক ছিলো জানিয়ে তিনি বলেন, “সুলতান গিয়াস উদ্দিন আজম শাহ যখন বাংলার স্বাধীন সুলতান ছিলেন, বিশেষ করে ১৩৯৩ সাল থেকে শুরু করে ১৪০৮ সাল পর্যন্ত তিনি চীনের সঙ্গে বাংলার সুসম্পর্ক গড়ে তোলেন।” তিনি আর ও সংযোজন করেন বঙ্গবন্ধুর লেখা বই “আমার দেখা নয়া চীন” এর কথা। বইটিতে বঙ্গবন্ধু সদ্য স্বাধীন হওয়া নতুন চীনের আর্থসামাজিক অবস্থা এবং সেখানকার মানুষের জীবনযাত্রার উপর ভিত্তি করে যে ভবিষ্যৎবাণী লিখেছেন, আজকের চীন ঠিক ততটাই উন্নত হয়েছে।
BCYSA.ORG এর নিউজ-এ আপনিও লিখতে পারেন। গণচীনে প্রবাস জীবনে আপনার অভিজ্ঞতা, বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের খবরাখবর, আনন্দ-বেদনার গল্প, স্মৃতিচারণ, ভ্রমণ, অনুভূতি, বিশেষ অনুষ্ঠানের প্রতিবেদন, চীন-বাংলাদেশ সম্পর্কে অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক খবর ছবিসহ আমাদের (বাংলা অথবা ইংরেজিতে) পাঠাতে পারেন। লেখা পাঠানোর ইমেইল : [email protected]।