চীনে আসার আগে ও পরে কি করবেন?
অজয় কান্তি মন্ডল: বিপদে ছোট খাটো ঝামেলা ও অনেক বেশি পীড়া দেয়। আর
সেই বিপদ যদি বিদেশের মাটিতে হয় তাহলে তো কথাই নেই। কেননা, প্রবাদে আছে ‘বিদেশে
নাকি লাউয়ের কাঁটা পায়ে ফোটে’। যাইহোক, বিদেশ আসার আগে কিছু সতর্কতা
অবলম্বন করলে অনেক কঠিন বিষয় ও সহজ হয়ে যায়। তাই যে দেশেই যাওয়া হোক না কেন পূর্ব
হতে সেই দেশের নিয়মনীতি, সেখানে পৌঁছানোর পরে কি করনীয় সবকিছু আগে থেকে জেনে রওনা
হলে সেখানে পৌঁছে অনেক অনাকাঙ্ক্ষিত ঝামেলা এড়িয়ে চলা যায়। চীনে আসার পরে প্রাথমিক
ভাবে একজন আগন্তুক যে সব সমস্যার সম্মুখীন হতে পারে এবং পূর্ব সচেতনতা অবলম্বন করে
সেই সমস্যাগুলো থেকে কিভাবে সহজে উত্তরন পাওয়া যায় তাই নিয়েই আজকের আয়োজন।
বিদেশ সবার কাছে একটু হলেও ভিন্ন
অনুভূতি। একদিকে দেশের প্রিয় মানুষদের ছেড়ে অনেকটা অজানার উদ্দেশ্যে পাড়ি দেওয়া।
অন্যদিকে, প্রথম প্রথম সম্পূর্ণ নতুন পরিবেশে নিজেকে খাপ খাওয়ানো। তাই উত্তেজনা,
ভীতিকর অবস্থা সাথে মানসিক দুর্বলতার মত নানান বিষয় গুলো সামাল দেওয়া প্রথম প্রথম সকলের
জন্য একরকম চ্যালেঞ্জের বিষয়। পরিবার পরিজন ছেড়ে যখন দেশের সীমানা পার হতে হয় ঠিক
তখনই অনুভত হয় দেশের টান, মাটি ও মানুষের টান। মনে পড়ে দেশীয় খাবারের স্বাদ, দেশীয়
ভাষার টান, সর্বোপরি দেশীয় মানুষের সঙ্গ। যদি
দেশীয় কোন এয়ারলাইনে বিদেশে পাড়ি দেন তাহলে বিমানের ভিতরে খাবার দাবারে দেশীয়
স্বাদ থাকে। এজন্য বিমানের ভিতর অন্তত খাবারে সমস্যা হবেনা। কিন্তু অন্য বিমানে
দেশ ছাড়লে প্রথমেই দেশীয় খাবার মিস করাটাই স্বাভাবিক। চাইনিজ কোন এয়ারলাইন হলে তো
কথাই নেই। কেননা,
চাইনিজ এয়ারলাইন গুলো যদিও চেষ্টা করে কমন কিছু খাবার রাখার যেটা সবাই খেতে পারে।
কিন্তু তার পরেও তাদের ভারী খাবার যেমন নুডুলস বা ভাতের সাথে যে তরকারি গুলো দেওয়া
হয় সেগুলো প্রথমে যেকোন বাঙালীর জন্য গলা দিয়ে নামানো একটু কঠিন হয়। তবে হ্যাঁ
অন্যান্য যেসব ড্রিঙ্কস বা ফ্রুটস, কফি, দুধ থাকে সেগুলো খেতে কোন সমস্যা হয়না। তারপরেও,
যারা প্রথম চীনে আসছেন তাদের হ্যান্ড লাগেজে বাড়তি সচেতনতা হিসেবে কিছু শুকনো
খাবার যেমন বিস্কুট, কেক, ইন্সট্যান্ট নুডুলস নিতে পারেন। যেগুলো, প্রথম প্রথম ভালো
কাজে দেওয়ার পাশাপাশি সেগুলো মাঝেমধ্যে নিজেকে দেশীয় খাবারের স্বাদ দেবে।
যাত্রাপথে যদি লম্বা কোন ট্রানজিট থাকে, সে ক্ষেত্রেও সাথে করে আনা খাবারগুলোও সহায়ক হবে। তবে ট্রানজিটের সময় চাইলেও বিমানবন্দরের ভিতরে অবস্থিত ভালো কিছু ফাস্ট ফুডের দোকান (যেমনঃ ম্যাকডোনাল্ড, কেএফসি) থেকে পিজ্জা, বার্গার কিনে খেতে পারেন।
BCYSA.ORG এর নিউজ-এ আপনিও লিখতে পারেন। গণচীনে প্রবাস জীবনে আপনার অভিজ্ঞতা, বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের খবরাখবর, আনন্দ-বেদনার গল্প, স্মৃতিচারণ, ভ্রমণ, অনুভূতি, বিশেষ অনুষ্ঠানের প্রতিবেদন, চীন-বাংলাদেশ সম্পর্কে অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক খবর ছবিসহ আমাদের (বাংলা অথবা ইংরেজিতে) পাঠাতে পারেন। লেখা পাঠানোর ইমেইল : [email protected]।