একজন চীনা শিক্ষক ও একজন বাংলাদেশী শিক্ষার্থীর অনুপ্রেরণা
সাবরিনা সুলতানা লিজাঃ আমি সাবরিনা
সুলতানা লিজা, বর্তমানে চীনের
জিয়াংসু প্রদেশে অবস্থিত হুয়াইন ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজিতে ফার্মাসিউটিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং
ডিপার্টমেন্টের ৩য় বর্ষের শিক্ষার্থী।
আমাদের জীবনে শিক্ষকদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। তারা পাঠ্যবইয়ে পাশাপাশি
বাস্তব দুনিয়া সম্পর্কে আমাদের শেখান। একজন ভালো হৃদয়ের এবং নৈতিক গুণাবলী সম্বৃদ্ধ
শিক্ষকই একজন শিক্ষার্থীর জীবনকে চিরকালের জন্য পরিবর্তন করে তাকে ভবিষ্যতের জন্য সফল
এবং আদর্শ মানুষ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেন। মিসেস এ্যালিস তেমনি একজন চাইনিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের
আন্তর্জাতিক বিভাগের ডিন। এ্যালিস লাওশি যিনি আমার জীবনের অনুপ্রেরণা এবং আমার ভবিষ্যৎ
লক্ষ্য অর্জনের পথপ্রদর্শক; আমার রোল মডেল।
আমাদের সবার প্রিয় এ্যালিস লাওশি তিনি অত্যন্ত পরিশ্রমী এবং কাজের জন্য ডেডিকেটেড
একজন সুন্দর চরিত্রের শিক্ষক। কাজের প্রায়োরিটি এবং সময়ের মূল্য যার কাছে সব থেকে মূল্যবান।
তাঁর সাথে পরিচয়ের পর থেকেই শিখেছি সময়ের মূল্য এবং সঠিক সময়ে কাজ সম্পন্ন করা এবং
নিয়মানুবর্তিতা। তাঁর প্রথম উপদেশ থাকতো ভালোভাবে পড়াশোনা করা এবং সময়মতো খাওয়া দাওয়া
এবং ঘুমানো। অবসর সময়ে ভালো কাজ করার দিকনির্দেশনা এবং নিজের ভেতরে থাকা প্রতিভাগুলো
প্রজ্জ্বলিত করে নিজের লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে যাওয়া।
মিসেস এ্যালিস কাজের পাশাপাশি তার অন্যান্য প্রতিভাগুলো অসাধারণ। তিনি অত্যন্ত
ভালো একজন আর্টিস্ট। তাঁর কাছে থেকে মনোমুগ্ধকর নাচ এবং গান শিখেছি যেগুলো তার থেকে
পাওয়া আমার জীবনের একটি চমৎকার অভিজ্ঞতা।
তিনি আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের ফরেন ডিপার্টমেন্টের প্রধান। তাকে যতবার কাছে থেকে
দেখেছি ততবার মনে হয়েছে তিনি আমাদের সকলের গাইড এবং পরিবারের একজন সদস্য। গত
২ বছরে যেকোনো অসুস্থতা এবং বিপদে আপদে তাকে পাশে পেয়েছি। তিনি অত্যন্ত ব্যস্ত থাকলেও
সবসময় চেষ্টা করেছেন ফরেইন ছাত্র-ছাত্রীদের পাশে থাকার। কখনো কখনো তিনি নিজেই ছুটে
এসেছেন আমাদের হোস্টেলে খুব সামনে থেকে আমাদের পর্যবেক্ষণের জন্য।
আমি দেশে চলে আসার পর জেনেছি তিনি কোভিড-১৯ মহামারির সময়ে নিজের জীবনের ঝুঁকি থাকা সত্বেও ছুটে গিয়েছেন মাস্ক এবং নিরাপদ সামগ্রী নিয়ে ফরেইন হোস্টেলে। আমার স্পষ্ট মনে পড়ছে মাস্কের সংকটকালীন সময়ে তিনি নিজে অন্যান্য দেশের ছাত্র-ছাত্রীদের সাথে
BCYSA.ORG এর নিউজ-এ আপনিও লিখতে পারেন। গণচীনে প্রবাস জীবনে আপনার অভিজ্ঞতা, বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের খবরাখবর, আনন্দ-বেদনার গল্প, স্মৃতিচারণ, ভ্রমণ, অনুভূতি, বিশেষ অনুষ্ঠানের প্রতিবেদন, চীন-বাংলাদেশ সম্পর্কে অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক খবর ছবিসহ আমাদের (বাংলা অথবা ইংরেজিতে) পাঠাতে পারেন। লেখা পাঠানোর ইমেইল : [email protected]।